অনুসরন করুন


Blogger widgets
IconIcon Icon

vvvv

Home » , » কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহার।

কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহার।

শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতমকুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি প্রত্নস্থলের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি এই বৌদ্ধ বিহারএটি ১২শ প্রত্নতাত্বিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত
কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত সব প্রত্নতত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে শালবন বিহার অন্যতম প্রধানকোটবাড়িতে বার্ডেরকাছে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় বিহারটির অবস্থানবিহারটির আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল বলে বিহারটির নামকরণ হয়েছিল শালবন বিহারএর সন্নিহিত গ্রামটির নাম শালবনপুরএখনো ছোট একটি বন আছে সেখানে বিহারটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট

ধারণা করা হয় যে খৃষ্টিয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেনশালবন বিহারের ছয়টি নির্মাণ নর্নির্মাণ পর্বের কথা জানা যায়খৃষ্টিয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয় বিহারটির সার্বিক সংস্কার হয় বলে অনুমান করা হয়চতুর্থ পঞ্চম পর্যায়ের নির্মাণকাজ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয় নবম-দশম শতাব্দীতে
আকারে এটি চৌকোশালবন বিহারের প্রতিটি বাহু ১৬৭. মিটার দীর্ঘবিহারের চার দিকের দেয়াল পাঁচ মিটার পুরুকক্ষগুলো বিহারের চার দিকের বেষ্টনী দেয়াল পিঠ করে নির্মিতবিহারে ঢোকা বা বের হওয়ার মাত্র একটাই পথ ছিল পথ বা দরজাটি উত্তর ব্লকের ঠিক মাঝামাঝি স্খানে রয়েছেপ্রতিটি কক্ষের মাঝে . মিটার চওড়া দেয়াল রয়েছেবিহার অঙ্গনের ঠিক মাঝে ছিল কেন্দ্রীয় মন্দির
বিহারে সর্বমোট ১৫৫টি কক্ষ আছেকক্ষের সামনে . ফুট চওড়া টানা বারান্দা তার শেষ প্রান্তে অনুচ্চ দেয়ালপ্রতিটি কক্ষের দেয়ালে তিনটি করে কুলুঙ্গি রয়েছেকুলুঙ্গিতে দেবদেবী, তেলের প্রদীপ ইত্যাদি রাখা হতোএই কক্ষগুলো ছিলবৌদ্ধ ভিক্ষুরা থাকতেনসেখানে বিদ্যাশিক্ষা ধর্মচর্চ্চা করতেন

হলঘর
বিহারের বাইরে প্রবেশ দ্বারের পাশে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি হলঘর রয়েছেচার দিকের দেয়াল সামনে চারটি বিশাল গোলাকার স্তম্ভের ওপর নির্মিত সে হলঘরটি ভিক্ষুদের খাবার ঘর ছিল বলে ধারণা করা হয়হলঘরের মাপ ১০ মিটার গুণন ২০ মিটারহলঘরের চার দিকে ইটের চওড়া রাস্তা রয়েছে
প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে বিহারটির ধ্বংসাবশেষ থেকে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ রৌপ্য মুদ্রা, অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রৌঞ্জ মাটির মূর্তি পাওয়া গেছেএগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করছে
Share this article :

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
সম্পাদক: টিটু ইফতেখার
কপিরাইট © 2011. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন - সর্বসত্ব সংরক্ষিত
টেমপ্লেট সম্পাদনা - আলভী ডিজাইন