বদেশ্বরী মন্দিরটি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের দেঃভিঃ বদেশ্বরী মৌজার প্রায় ২.৭৮ একর জমিতে (মন্দির ও পার্শ্ববর্তী অংশসহ) অবস্থিত।
হিন্দু ধর্মের ১৮টি পুরাণের মধ্যে স্কন্দ পুরাণ একটি। সেই স্কন্দ পুরাণে কশি উঃ ৮৮তে বর্ণিত আছে
রাজা দক্ষ একটি যজ্ঞানুষ্ঠান করেছিলেন। ভোলানাথ শিব রাজা দক্ষের জামাই ছিলেন। রাজা দক্ষ কখনই শিবকে জামাই হিসেবে মেনে নেননি। কারণ মহানবীর শিব সর্বদাই ছিলেন উদাসীন এবং নেশা ও ধ্যানগ্রস্ত। উক্ত যজ্ঞানুষ্ঠানে মুনি-ঋণিগণ ও অন্যান্য দেবতাগন নিমন্ত্রিত হলেও রাজা দক্ষের জামাই তথা দেবী দূর্গা (পার্বতী/মহামায়া) এঁর স্বামী ভোলানাথ শিব নিমন্ত্রিত ছিলেন না।
হিন্দু ধর্মের ১৮টি পুরাণের মধ্যে স্কন্দ পুরাণ একটি। সেই স্কন্দ পুরাণে কশি উঃ ৮৮তে বর্ণিত আছে
রাজা দক্ষ একটি যজ্ঞানুষ্ঠান করেছিলেন। ভোলানাথ শিব রাজা দক্ষের জামাই ছিলেন। রাজা দক্ষ কখনই শিবকে জামাই হিসেবে মেনে নেননি। কারণ মহানবীর শিব সর্বদাই ছিলেন উদাসীন এবং নেশা ও ধ্যানগ্রস্ত। উক্ত যজ্ঞানুষ্ঠানে মুনি-ঋণিগণ ও অন্যান্য দেবতাগন নিমন্ত্রিত হলেও রাজা দক্ষের জামাই তথা দেবী দূর্গা (পার্বতী/মহামায়া) এঁর স্বামী ভোলানাথ শিব নিমন্ত্রিত ছিলেন না।
এ কথা শিবের সহধর্মিনী জানা মাত্রই ক্ষোভে দেহত্যাগ করেন। শিব তাঁর সহধর্মিনীর মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে উন্মাদ হয়ে তাঁর সহধর্মিনীর শব দেহটি কাঁদে নিয়ে পৃথিবীর সর্বস্তরে উন্মাদের ন্যায় ঘরতে থাকেন এবং প্রলয়ের সৃষ্টি করেন। সে মুহুর্তে স্বর্গের রাজা বিষ্ণুদেব তা সহ্য করতে না পেরে স্বর্গ হতে একটি দুদর্শনচক্র নিক্ষেপ করেন। চক্রের স্পর্শে শবদেহটি ৫২টি ঘন্ডে বিভক্ত হয়। শবের ৫২টি খন্ডের মধ্যে বাংলাদেশে পড়ে ০২টি খন্ড। একটি চট্ট্রগামের সীতাকুন্ডে এবং অপরটি পঞ্চগড় এর বদেশ্বরীতে। মহামায়ার খন্ডিত অংশ যে স্থানে পড়েছে তাকে পীঠ বলা হয়। বদেশ্বরী মহাপীঠ এরই একটি। উক্ত মন্দিরের নাম অনুযায়ী বোদা উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে। করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে নির্মিত বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দিরটি এখন প্রত্নতাত্বিক ঐতিহ্যের নিদর্শন বহন করে।খ্রিস্টীয় দ্বিতীয়-তৃতীয় শতকে পঞ্চগড়সহ সমগ্র উত্তর
বঙ্গ মৌর্য সাম্রাজ্যের অর্ন্তভূক্ত ছিল। বগুড়ার মহাস্থান গড়ে প্রাপ্ত ওই সময়কার শিলালিপি
এবং ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, তিববত অভিযানে ব্যর্থ ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি দস্যুদের
আক্রমণের ভয়ে তুর্কি ঘোড়সোয়ার বাহিনী নিয়ে বদেশ্বরীর কাছে প্রবাহিত খরস্রোতা নদী করতোয়া পাড়ি দিয়ে নেকমদের দিকে রওয়ানা কালে সাঁতারে
অনভ্যস্ত তুর্কি বাহিনীর অনেক ঘোড় সওয়ার ঘোড়াসহ ডুবে মারা যায়। বেঁচে যাওয়া অবশিষ্ট সৈন্য নিয়ে অম দস্যুদের ভয়ে
খিলজি করতোয়া নদীর তীরে জঙ্গলে একটি ভগ্ন মন্দিরে আশ্রয় নেন। পরে তিনি দেখতে পান একটি ভগ্ন দূর্গ। গবেষকদের মতে এটিই বদেশ্বরী গড়। পাল রাজারা মন্দিরের রক্ষনাবেক্ষণের জন্য নির্মাণ
করেন দূর্গ। নদী পার হতে গিয়ে ঘোড়াসহ সৈন্য মারা পড়ায় বর্তমান
বোদা উপজেলার মাড়েয়া এবং বড়শশী ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে করতোয়া নদীর ওই ঘাট এখনও ঘোড়া
মারা ঘাট নামে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন