অনুসরন করুন


Blogger widgets
IconIcon Icon

vvvv

Home » , , » নীলফামারীর ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন।

নীলফামারীর ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন।


ইতিহাস থেকে জানা যায়উপমহাদেশে সুফী সাধকদের প্রেরণাতেই এক সময়ে মুসলিম শাসন  মোগল আমল বহু মসজিদ গড়ে উঠে
 ধর্ম প্রচার  প্রসারের পাশাপাশি মুসলিম সাধকরা শিল্পসুষমা মণ্ডিত অসংখ্য উপসনালয়  মসজিদ তৈরি করেন
এমনি একটি উপাসানালয় জেলার সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগে ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ ১৮৬৩ সালে হাজী বাকের আলী  হাজী মুকু ইসলামবাগ ছন  বাঁশ দিয়ে একটি মসজিদ নির্মান করেন পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহায়তায় টিন দিয়ে এটি রূপান্তরিত করা হয়এলাকার মানুষেরা মাসিক আয়ের একটি অংশ দিয়ে মসজিদের জন্য ফাণ্ড গঠন করে
পরবর্তীতে ১৯২০ সালে ইমাম হাজী হাফিজ আবদুল করিমের উদ্যোগে মসজিদের ৩৯ / ৪০ ফুট আয়তনের পাকাঘর নির্মাণ করা হয় এর নকশা তৈরি করেন হাজী করিম নিজেই পরবর্তীতে শঙ্কু নামের এক হিন্দু ব্যক্তি দৈনিক ১০ আনা মজুরীতে মসজিদ নতুনভাবে নির্মান শুরু কর এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তাকে সাহায্য করতে থাকেন মসজিদের গাত্রে চিনামাটির থালার ভগ্নাংশকাঁচের ভগ্নাংশ বসিয়ে ইট  সুরকি দিয়ে নির্মান কাজ করা হতে থাকে এই পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে চিনি করা বা চিনি দানার কাজ করা  থেকেই এই মসজিদের নাম চিনি মসজিদ বা চীনা মসজিদ চীনা মাটির থালার ভগ্নাংশ দিয়ে গোটা মসজিদ মোড়ানো বলে একে অনেকেই চীনা মসজিদও বলে থাকে আর এই চিনামাটির তৈজসপত্র নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতা থেকে  সময় কলকাতা থেকে ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর এনে মসজিদে লাগানো হয় মসজিদের সম্পূর্ণ অংশ চীনামাটির টুকরা দিয়ে আবৃত করতে বগুড়ার একটি গ্লাস ফ্যাক্টরি মসজিদে ২৫ মেট্রিক টন চীনামাটির পাথর দান করে এই পাথরেই মোড়ানো হয় মসজিদের ৩২টি মিনারসহ ৩টি বড় গম্বুজ নির্মাণ করা হয় উত্তর  দক্ষিণে দুটি ফটক মসজিদের গোটা অবয়ব ঢেলে সাজানো হয় রঙিন চকচকে পাথরে মসজিদের বারান্দা বাঁধানো হয় সাদা মোজাইকে দেয়াল জুড়ে চীনামাটির পাথরেই আঁকা হয় নানান সুদৃশ্য নকশা মসজিদের অনন্য কারুকার্যে সত্যিই মুগ্ধ হতে হয় ফুলদানিফুলের ঝাড়গোলাপফুলএকটি বৃন্তে একটি ফুলচাঁদ তারা মসজিদের গাত্রে খঁচিত রয়েছে এছাড়াও মুগ্ধ হতে হয় তত্কালিন আরবীয় ক্যালিপ্ট্রা দেখে  মসজিদ তৈরিতে প্রচুর মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে মসজিদটি নিছক উপাসনালয়ই নয়নয়নাভিরাম স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছেও সমান আকর্ষণীয়তেমন ধর্মানুরাগী মুসলমানদের মনেও মসজিদের আবহ সঞ্চার করে এক দারুণ আধ্যাতিক অনুভূতি


Share this article :

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
সম্পাদক: টিটু ইফতেখার
কপিরাইট © 2011. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন - সর্বসত্ব সংরক্ষিত
টেমপ্লেট সম্পাদনা - আলভী ডিজাইন