অনুসরন করুন


Blogger widgets
IconIcon Icon

vvvv

Home » , , » পৃথিবীর অন্যতম বড় বৌদ্ধবিহার পাহাড়পুর ।

পৃথিবীর অন্যতম বড় বৌদ্ধবিহার পাহাড়পুর ।


পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানায় পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৩০.৩০ মিটার উচুতে অবস্থিত পাহাড় সদৃশ স্থাপনা হিসেবে এটি টিকে রয়েছেস্থানীয় লোকজন একে 'গোপাল চিতার পাহাড়' আখ্যায়িত করতসেই থেকেই এর নাম হয়েছে পাহাড়পুরবৌদ্ধ বিহারটির ভূমি-পরিকল্পনা চতুষ্কোনাকার এর চারদিক চওড়া সীমানা দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল
সীমানা দেয়াল বরাবর অভ্যন্তর ভাগে সারিবদ্ধ ছোট ছোট কক্ষ ছিলউত্তর দিকে ৪৫টি এবং অন্য তিন দিকে রয়েছে ৪৪টি করে কক্ষএই কক্ষগুলোর তিনটি মেঝে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রতিটি মেঝে বিছানো ইঁটের ওপর পুরু সুরকী দিয়ে অত্যন্ত মজবুত ভাবে তৈরি করা হয়েছিলোসর্বশেষ যুগে ৯২টি কক্ষে মেঝের ওপর বিভিন্ন আকারের বেদী নির্মাণ করা হয়এ থেকে অনুমান করা যায় যে, প্রথম যুগে সবগুলো কক্ষই ভিক্ষুদের আবাসকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীকালে কিছু কক্ষ প্রার্থনাকক্ষে রুপান্তর করা হয়েছিলো কক্ষগুলোর প্রতিটিতে দরজা আছেএই দরজাগুলো ভেতরের দিকে প্রশস্ত কিন্তু বাইরের দিকে সরু হয়ে গেছেকোন কোন কক্ষে কুলুঙ্গি পাওয়া যায় কুলুঙ্গি সম্বলিত কক্ষগুলোর মেঝেতে দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য বেশ কিছু দ্রব্যাদি পাওয়া যায়ভেতরের কক্ষগুলোর সামনে ২.৫মি প্রশস্ত টানা বারান্দা আছেভেতরের দিকের উন্মুক্ত চত্বরের সাথে প্রতিটি বাহু সিঁড়ি দিয়ে যুক্ত বিহারের উত্তর বাহুর মাঝ বরাবর রয়েছে প্রধান ফটকএর বাইরের ও ভেতরের দিকে একটি করে স্তম্ভ সম্বলিত হলঘর এবং পাশে ছোট ছোট কুঠুরি আছেএই কুঠুরিগুলো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতপ্রধান ফটক এবং বিহারের উত্তর-পূর্ব কোনের মাঝামাঝি অবস্থানে আরও একটি ছোট প্রবেশ পথ ছিলোএখান থেকে ভেতরের উন্মুক্ত চত্বরে প্রবেশের জন্য যে সিঁড়ি ব্যবহৃত হত তা আজও বিদ্যমান বিহারের অন্তর্বর্তী স্থানের উন্মুক্ত চত্বরের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্দিরের ধ্বংশাবশেষএখন এটি ২১মি উঁচু হলেও মূল মন্দিরটি কমপক্ষে ৩০ মি উঁচু ছিল
পাহাড়পুরে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের সাথে সংশ্লিষ্ট আরও যেসব নিদর্শন রয়েছে সেগুলি হলো- স্নানঘাট, গন্ধেশ্বরী মন্দির ইত্যাদি।১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো পাহাড়পুর কে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান এর মর্যাদা দেয়
Share this article :

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
সম্পাদক: টিটু ইফতেখার
কপিরাইট © 2011. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন - সর্বসত্ব সংরক্ষিত
টেমপ্লেট সম্পাদনা - আলভী ডিজাইন