বাংলাদেশের একমাত্র জলপ্রপাতটি মাধবকুন্ড।এটি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত।
প্রায় ২০০ ফুট উঁচু সবুজে আবৃত আর পাহাড়ে ঘেরা মাধবকুন্ড।
পাহাড়ের উপর থেকে জলরাশি এর গা বেয়ে অবিরাম ধারায় সাঁ সাঁ শব্দে নিচে পড়ছে। অবিরাম পতনের ফলে নিচে সৃষ্টি হয়েছে উচু থেকে অবিরাম গড়ানো পানির স্রোতে সৃষ্ট কুন্ডটি প্রায় ২৫ ফুট গভীর। জলপ্রপাতের অবিরাম স্রোতধারা প্রবাহিত হওয়ায় পাহাড়ের গা পুরোটাই কঠিন পাথরে পরিনত হয়েছে। জলরাশি নির্গত কুণ্ডের ডানদিকে রয়েছে বিশাল গুহা। পাহাড়ের গভীরে তৈরি গুহাকে আধুনিক কারুকচিত পাথরের একচালা মনে হবে।
প্রায় ২০০ ফুট উঁচু সবুজে আবৃত আর পাহাড়ে ঘেরা মাধবকুন্ড।
পাহাড়ের উপর থেকে জলরাশি এর গা বেয়ে অবিরাম ধারায় সাঁ সাঁ শব্দে নিচে পড়ছে। অবিরাম পতনের ফলে নিচে সৃষ্টি হয়েছে উচু থেকে অবিরাম গড়ানো পানির স্রোতে সৃষ্ট কুন্ডটি প্রায় ২৫ ফুট গভীর। জলপ্রপাতের অবিরাম স্রোতধারা প্রবাহিত হওয়ায় পাহাড়ের গা পুরোটাই কঠিন পাথরে পরিনত হয়েছে। জলরাশি নির্গত কুণ্ডের ডানদিকে রয়েছে বিশাল গুহা। পাহাড়ের গভীরে তৈরি গুহাকে আধুনিক কারুকচিত পাথরের একচালা মনে হবে।
মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে এলে চোখে পড়বে উচু নীচু পাহাড়ী টিলায় দিগন্ত জোড়া চা বাগান। টিলার ভাঁজে ভাঁজে খাসিয়াদের পান পুঞ্জি ও জুম চাষ,পাহাড়ীদের সনাতনী বাড়ি ঘর । ১৩৪২ সালে বিষ্ণুদাস সন্ন্যাসী মাধবকুণ্ডের পশ্চিমাংশে কমলা বাগান তৈরি করেন, সেই কমলা বাগান আজও আছে। এ জলপ্রপাতের সুচনা কখন হয়েছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও ভূ-তাত্বিকদের ধারনা প্রায় হাজার বছর আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সন্যাসী মাধবেশ্বর এখানে আস্থানা করেন। পাহাড়বেষ্টিত নির্জন স্থানে সন্যাসী ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। মাধবেশ্বরের আস্থানা ঘেষে বয়েছে ঝর্ণাধারা। সন্যাসী তার প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতেন ঝর্ণার শীতল জল দিয়ে। সেই থেকে প্রাকৃতিক জলধারাটির নাম মাধবকুণ্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আবার কারও কারও মতে, মহাদেব বা শিবের পূর্বনাম মাধব এবং এর নামানুসারে তার আবির্ভাব স্থানের নাম মাধবকুণ্ড। মাধবকুণ্ড অতীত থেকেই হিন্দু সমপ্রদায়ের তীর্থ স্থান হিসাবে পরিচিত। মাধবেশ্বরের আশির্বাদ নিতে হাজার হাজার মানুষ আসেন প্রতি বছরের চৈত্র মাসে। এ সময় মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে পুণ্যার্জন ও বারুনী স্নান করে পাপ মুক্তির কামনা করেন। মাধবের মন্দির ছাড়াও রয়েছে শিব মন্দির। বিশালাকার শিবলিঙ্গেরও পুজা হয়ে থাকে। চৈত্রমাসের ওই সময়ে বড় ধরনের মেলা বসে। তাই মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের ২ টি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যঃ দেশের সর্ববৃহৎ অকৃত্রিম জলপ্রপাত এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরুত্বপুর্ণ স্থান।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন