অনুসরন করুন


Blogger widgets
IconIcon Icon

vvvv

Home » , , » মোঘল আমলে স্থাপিত প্রাচীন দুর্গ ( আওরঙ্গবাদ দূর্গ ) লালবাগের কেল্লা।

মোঘল আমলে স্থাপিত প্রাচীন দুর্গ ( আওরঙ্গবাদ দূর্গ ) লালবাগের কেল্লা।

মোঘল আমলে স্থাপিত লালবাগের কেল্লা দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন  প্রাচীন দুর্গ
এটি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার কেন্দ্রস্থলে পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিতআর সে
কারণেই এর নাম হয়েছে লালবাগের কেল্লা
সম্রাট আওরঙ্গজেব তার শাসনামলে লালবাগ কেল্লা নির্মাণের ব্যবস্থা করেন সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র যুবরাজ শাহজাদা আজম ১৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দে এই প্রাসাদ দূর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন তৎকালীন লালবাগ কেল্লার নামকরণ করা হয় আওরঙ্গবাদ কেল্লা বা আওরঙ্গবাদ দূর্গ
পরবর্তীতে সুবাদার শায়েস্ত খাঁনের শাসনামলে ১৬৮৪ খিষ্টাব্দে নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে দূর্গটি পরিত্যাক্ত হয়১৯১০ সালে লালবাগ দুর্গের প্রাচীর সংরক্ষিত স্থাপত্য হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে আনা হয অবশেষে নির্মাণের ৩০০ বছর পর গত শতকের আশির দশকে লালবাগ দুর্গের যথাসম্ভব সংস্কার করে এর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয 
সে সময়ে নতুন ভাবে আওরঙ্গবাদ কেল্লা বাদ দিয়ে লালবাগ কেল্ল নামকরণ করা হয় যা বর্তমানে প্রচলিত বর্গাকৃতির সুউচ্চ প্রাচীর ঘেরা লালবাগ কেল্লার প্রথমেই নজরে আসে বিশাল ফটকলালবাগ কেল্লায় মোট তিনটি ফটক আছে যার মধ্যে দুইটি বর্তমানে বন্ধ করে দেয় হয়েছ ভেতরে প্রবেশ করলেই বাগান ঘেরা পরিবেশ দর্শনার্থীদের মনে আনন্দ দেয় সোজা একটু ভেতরেই শায়েস্তা খাঁনের প্রিয় কন্যা পরীবিবির সমাধি সৌধ ১৬৮৭-৮৮ খ্রিষ্টাব্দের কোন এক সময় পরিবিবি মৃত্যুবরণ করেন তার স্মৃতি ধর রাখার জন্য শায়েস্তা খাঁন ব্যায়বহুল একটি সমাধি সৌধ তৈরী করেন এই একটি মাত্র ইমারত মার্বেল পাথরকষ্টি পাথর বিভিন্ন রংয়ের ফুলপাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছ কক্ষগুলির ছাদ করবেল পদ্ধতিতে কষ্টি পাথরের তৈর মূল সমাধি সৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের কৃত্রিম গম্বুজটি তামার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত উল্ল্যেখ্য সমাধিটির সৌধ ২০. মিটার বর্গাকৃতির এছাড়া নাম না জানা আর দুইটি সমাধি এবং কয়েকটি ফোয়ারপাহাড়ি উচু টিলসুরঙ্গ পথ এবং কেল্লার দক্ষিণ এবং পশ্চিম দূর্গ প্রাচীরের নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর একটি করে পলকাট তোপমঞ্চ কেল্লার একমাত্র পুকুর চারিদিক ঘাট বাঁধানো সিড়ির মত এব পুকুরটি বর্গাকৃতির পেছনে সৈনিকদের ব্যারাক যা বর্তমানে আনসার ক্যাম্প পাহাড়ি উচু টিলার নিচে যে কক্ষগুলো পরিত্যাক্ত ছিল সেগুলোকে এখন একটি কনফারেন্স রুম বানানো হয়েছে যা কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করেন কয়েকটি সুরঙ্গ পথ দেখা যাবে বাইরে থেকএগুলোতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়
এছাড়াও দর্শনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে লালবাগ কেল্লা মসজিদসম্রাট আওরঙ্গজেবের ৩য় পুত্র শাহজাদা আজম বাংলার সুবাদার থাকাকালীন আয়তাকারে (১৯.১৯ মি: × .৮৪ মি) নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ১৬৭৮-৭৯ খ্রিষ্টাব্দেএছাড়া শায়েস্তা খাঁনের বাসভবনের পাশে একটি কামান রাখা আছে যা সেই সময়ে বিভিন্ন যুদ্ধে ব্যবহার হতএছাড়া লালবাগ কেল্লায় সবচাইতে আকর্ষণীয় এবং দর্শনীয় যে জিনিসটি আছে তা হল সুবেদার শায়েস্তা খাঁনের বাসভবন দরবার হল বর্তমানে যা লালবাগ কেল্লা জাদুঘর হিসেবে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে


Share this article :

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
সম্পাদক: টিটু ইফতেখার
কপিরাইট © 2011. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন - সর্বসত্ব সংরক্ষিত
টেমপ্লেট সম্পাদনা - আলভী ডিজাইন