খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে রয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজলা। সেখানকার আলুটিলা খাগড়াছড়ির একটি নামকরা পর্যটন কেন্দ্র। খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা সবাই অন্তত একবার চেষ্টা করে আলুটিলাতে যেতে। খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উঁচু পর্বতের নাম আলুটিলা। আলুটিলার আগের নাম ছিল আড়বাড়ি পর্বত। এই পর্বতের সীমানা বিশাল। উত্তরে মাহজনপাড়া, দক্ষিণে
তইকাথাং মৌজা, পূর্বে মালছড়া ও ঠাকুরছড়া গ্রাম এবং পশ্চিমে সাপমারা পর্বতশ্রেণী। আলুটিলা পর্বতশৃঙ্গের সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ফুট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খাগড়াছড়ি অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে এলাকার মানুষ খাদ্যের সন্ধানে এই পাহাড় থেকে বুনো আলু সংগ্রহ করে তা খেয়ে জীবন রক্ষা করেছিল। সেই থেকে এই পর্বতের নাম হয়ে যায় আলুটিলা।
এখনো এই টিলায় প্রচুর বুনো আলু পাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি শহর থেকে চাঁদের গাড়ি অথবা বাসে যাওয়া যায় আলুটিলায়।তইকাথাং মৌজা, পূর্বে মালছড়া ও ঠাকুরছড়া গ্রাম এবং পশ্চিমে সাপমারা পর্বতশ্রেণী। আলুটিলা পর্বতশৃঙ্গের সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ফুট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খাগড়াছড়ি অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে এলাকার মানুষ খাদ্যের সন্ধানে এই পাহাড় থেকে বুনো আলু সংগ্রহ করে তা খেয়ে জীবন রক্ষা করেছিল। সেই থেকে এই পর্বতের নাম হয়ে যায় আলুটিলা।
আলুটিলায় মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি রয়েছে একটি প্রাকৃতিক গুহা। গুহাটার নাম মাতাই হাকর বা দেবতা গুহা। তবে এটি বর্তমানে আলুটিলার রহস্যময় সুড়ঙ্গ নামেই পরিচিত। গুহাটির তলদেশে একটি প্রবহমান ঝরনা রয়েছে। সুরঙ্গের ভীতরে কোন আলো নেই। সুরঙ্গের তলদেশ পিচ্ছিল এবং পাথুরে। আলুটিলার এই মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা সত্যিই প্রকৃতির একটি আশ্চর্য খেয়াল। দেখতে অনেকটা ভূগর্ভস্থ টানেলের মত যার দৈর্ঘ প্রায় ৩৫০ ফুট। গুহার ভীতরে জায়গায় জায়গায় পানি জমে আছে, রয়েছে বড় বড় পাথর। বিশ্বের হাতে গোনা যে কটি প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ বা গুহা রয়েছে আলুটিলার দেবতা গুহা তাদের মধ্যে অন্যতম। তবে কীভাবে এই গুহাটি তৈরি হয়েছে তা আজও জানা যায়নি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন